ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়ক ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিলসহ (এম এ জলিল) ছয়জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেছেন শাফিল নাওয়াজ চৌধুরী নামের এক ব্যবসায়ী। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে তিনি এ মামলা করেন।

এদিন আদালত মামলার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

অনন্ত জলিল ছাড়া মামলার বাকি আসামিরা হলেন—জাহানারা বেগম, মো. শরীফ হোসাইন, সাকিবুল ইসলাম, মিলন ও শহিদুল ইসলাম। এর মধ্যে জলিলের পলো কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রির নিবন্ধিনের তথ্যানুযায়ী, জাহানার বেগম তার স্ত্রী। আর বাকিরা ওই কোম্পানিতে বিভিন্ন পদে কর্মরত।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার সজীব মাহমুদ বিষয়টি জানিয়ে বলেন, ‘আদালতে আজ শাফিল নাওয়াজ চৌধুরী নামের এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। পরে আদালতে জবানবন্দি দেন বাদী। জবানবন্দি গ্রহণ করে বিচারক পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।’

নথি থেকে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর আসামিরা পলো কম্পোজিট কোম্পানির নামে বাদীর কাছে গার্মেন্টস সম্পর্কিত কিছু কাজের জন্য অর্ডার দেন। এরপর বাদী কাজ শুরু করে কাজের বিপরীতে টাকা চাইলে আসামিরা কাজ চালিয়ে যেতে বলেন এবং এলসির মাধ্যমে টাকা দেবেন বলে জানান। পরবর্তীতে তারা আরও বেশ কিছু কাজের অর্ডার দেন।

চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত বাদী সবগুলো কাজ আসামিদের বুঝিয়ে দেন। এরপর গত ১৫ মার্চ টাকা পরিশোধের জন্য মার্কেন্টাইল ব্যাংকে আসামিরা বাদীর নামে একটি এলসি করেন। পরে বাদী টাকার জন্য ব্যাংকে যোগাযোগ করলে এলসির কাগজপত্রে ত্রুটির জন্য টাকা ওঠাতে ব্যর্থ হন। বাদী চুক্তি অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করলেও অনন্ত জলিলের মালিকানাধীন কোম্পানিটি এখন পর্যন্ত এক টাকাও পরিশোধ করেনি, যার পরিমাণ প্রায় ২৯ হাজার ২০০ ডলার (মার্কিন মুদ্রা)।